ইয়ং প্রফেশনালদের জন্য অনলাইন ওয়ার্কশপ:
‘‘হিলিং স্ট্রেস
উইথ মাইন্ডফুলনেস
মেডিটেশন’’
ওয়ার্কশপের উদ্দেশ্য
চাকরি, ব্যবসা আর পরিবারের নানান চাপে পড়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই বলে, এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির বেড়াজালে আটকে থেকে আপনার প্রোডাক্টিভিটি মোটেও শূণ্য করা যাবে না। এ সমস্যা সমাধানে আমাদের কাছে আছে একটা পারফেক্ট সলিউশন- ‘‘হিলিং স্ট্রেস উইথ মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন’’; যা আপনার বিষাদগ্রস্ত জীবনে এনে দিবে একটা ‘রিফ্রেশিং রিস্টার্ট’। এই ওয়ার্কশপটি করে আপনি শিখতে পারবেন- মানসিক চাপ ও স্বাভাবিক জীবনের ভারসাম্য রক্ষা, দৈনন্দিন জীবনে ফোকাস বাড়ানো কৌশল এবং ব্যক্তিগত ও পেশাদার সম্পর্ক উন্নত করার ব্যবহারিক সব টেকনিক। এটা শুধুমাত্র একটা ওয়ার্কশপ নয়, বরং প্রশিক্ষণ এর পাশাপাশি আমরা একটি হ্যাপি, হেল্দি, প্রোডাক্টিভ ও মাইন্ডফুল কমিউনিটি তৈরিতে অবদান রাখতে চাই।
ওয়ার্কশপটিতে কেন আপনার অংশগ্রহণ করা উচিৎ?
- মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন
- কর্মদক্ষতা এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি
- পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়ন
- নিজের সম্পর্কে সহজে জানতে পারবেন
- ইমোশন নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা, ফোকাস এবং প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি পাবে
‘‘আমি ‘হিলিং স্ট্রেস উইথ মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন’ ওয়ার্কশপটি তৈরী করেছি সেসব ইয়ং প্রফেশনালদের জন্য যারা স্ট্রেস, ফোকাস ও প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে স্ট্রাগল করছেন কিন্তু সঠিক রিসোর্স এবং গাইডলাইন পাচ্ছেন না।’’ – জোবায়ের রুবেল
ওয়ার্কশপে যা যা শিখবেন?
ফান্ডামেন্টাল অফ মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন, স্ট্রেস ও হিলিং।
শরীর ও মনের ওপর স্ট্রেসের প্রভাব কতটা ভয়ানক, বিজ্ঞান যা প্রমাণ করেছে।
স্ট্রেস মুক্তির জন্য মাইন্ডফুল শ্বাস এবং হিলিং পদ্ধতির সঙ্গে মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশনের প্র্যাকটিকাল এক্সপেরিয়েন্স গ্রহণ।
মাইন্ডফুল সেল্ফ-অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড সেল্ফ কেয়ার মেডিটেশনের মাধ্যমে প্র্যাকটিকাল এক্সপেরিয়েন্স গ্রহণ।
নিজেকে আরো বেশি প্রোডাক্টিভ করে তুলতে ৫টি মাইন্ডফুল হ্যাবিট।
প্রি-ওয়ার্কশপ অ্যাক্টিভিটি
৫টি সেলফ অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষা
১. আপনার স্ট্রেস কতটুকু তা পরিমাপ করা হবে
২. আপনি কতটা মাউন্ডফুল তা পরিমাপ করা হবে
৩. আপনার ফোকাস ক্ষমতা পরিমাপ করা হবে
৪. রিলেশনশিপে পার্টনার হিসেবে আপনি কেমন তা পরিমাপ করা হবে
৫. সেল্ফ-অ্যাওয়ারনেস প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যেমে নিজেকে নতুন করে জানবেন
এই ওয়ার্কশপে কাদের অংশগ্রহণ করা উচিত?
১
যারা কর্মক্ষেত্রে কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে উচ্চ মাত্রার মানসিক চাপে থাকেন, স্ট্রেস পরিচালনা করা শিখতে চান এবং নিজের ভেতর ওয়েলবিং অর্জন করতে চান।
২
যারা ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের মান উন্নয়নের জন্য মাইন্ডফুলনেস এবং সেল্ফ-ডেভলপমেন্ট করতে আগ্রহী তরুণ-তরূনী।
৩
যারা ফোকাস ও প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি এবং জীবনে আরও ভালো পারফরম্যান্সের জন্য মাইন্ডফুলনেস কৌশল শিখতে চান।
৪
যারা নিজেকে ও নিজের ইমোশন সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে চান এবং সেগুলো পরিচালনার কৌশল শিখতে চান।
৫
যারা সব সময় নিজের গ্রোথ, সেল্ফ-ডেভলপমেন্ট এবং মাইন্ডফুল রাখতে একটি কমিউনিটি খুঁজছেন।
কেন আপনার স্ট্রেস নিয়ন্ত্রন করা উচিত, বিজ্ঞান কি বলছে?
শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব
বৈজ্ঞানিক গবেষণা মতে, মানসিক চাপ শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেমন- হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব
স্ট্রেস মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেমন- ডিপ্রেশন, অ্যাঙ্জাইটি এবং অন্যান্য মেন্টাল হেলথ ডিজিজ বাড়ায়।
রিডিউস প্রোডাক্টিভিটি
বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, স্ট্রেস প্রডাক্টিভিটি হ্রাস করে। কারণ এটি একাগ্রতা এবং ফোকাসে অসুবিধা সৃষ্টি করে।
সম্পর্কের ওপর প্রভাব
দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপরও চাপ সৃষ্টি করে। বিজ্ঞান দেখিয়েছে যে, উচ্চ মাত্রার মানসিক চাপ বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে পারে এবং সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখা কঠিন করে তোলে। ফলে আমাদের দেশে প্রতিবছর ডিভোর্স এবং আত্মহত্যা বাড়ছে।
নিম্নমানের জীবন
দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস জীবনের মানও কমিয়ে দিতে পারে। কারণ এটি অসন্তোষ, অসুখী এবং নিম্ন আত্মসম্মানবোধের কারণ।
ট্রেডিশনাল মেডিটেশন এবং মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশনের পার্থক্য?
উদ্দেশ্যগত পার্থক্য
ট্রেডিশনাল মেডিটেশন-এ আধ্যাত্মিক বা ধর্মীয় উদ্দেশ্য নিয়ে চর্চা করা হয়। যেমন- প্রজ্ঞা, শেষ্ঠত্ত্ব অর্জন বা পরমাত্মার সঙ্গে কানেকশন তৈরি করা। অন্যদিকে মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন-এ বর্তমান মুহূর্তে সচতনতা বৃদ্ধির মাধ্যেমে মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দেয়।
কৌশলগত পার্থক্য
ট্রেডিশনাল মেডিটেশনের নির্দিষ্ট কিছু কৌশল অন্তর্ভুক্ত। যেমন- একটি মন্ত্র পুনরাবৃত্তি করা বা ভিজ্যুয়ালাইজেশন করা ইত্যোদি। অন্যদিকে মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন বিচারবিহীন স্থিতিতে বর্তমান মুহুর্তে সচেতনভাবে মনোযোগ দেওয়া সঙ্গে জড়িত।
ফোকাসে পার্থক্য
ট্রেডিশনাল মেডিটেশন একটি নির্দিষ্ট বস্তু বা ধারণার ওপর ফোকাস করার সঙ্গে জড়িত। অন্যদিকে মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশনে বর্তমান মুহূর্তে চিন্তাভাবনা, আবেগ এবং শারীরিক সংবেদ সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়া সঙ্গে জড়িত।
উৎপত্তিগত পার্থক্য
ট্রেডিশনাল মেডিটেশনের শিকড় রয়েছে প্রাচীন আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের মধ্যে। অন্যদিকে মাইন্ডফুল মেডিটেশনের শিকড় রয়েছে পূর্বের আধ্যাত্মিক মেডিটেশন ও বিপাশনা মেডিটেশনের মধ্যে যা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য পরিচালিত, ধর্মনিরপেক্ষ এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিকশিত হয়েছে।
স্থান এবং সময়গত পার্থক্য
ট্রেডিশনাল মেডিটেশন নির্দিষ্ট কিছু পরিবেশে দীর্ঘ সময় নিয়ে অনুশীলন করা হয়। যেমন-খুব পবিত্র কোনো স্থানে; এক ঘণ্টা বা তার থেকে বেশি সময় নিয়ে করা হয়। অন্যদিকে মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন যেকোনো স্থানে, যেকোনো সময় অনুশীলন করা যায়। যেমন-বাড়িতে, গাড়িতে, কর্মক্ষেত্রে, বাস্তায় ও পার্কে; মাত্র এক মিনিট বা কয়েক মিনিটেও চর্চা করা যায়।
লক্ষ্যগত পার্থক্য
ট্রেডিশনাল মেডিটেশনে আধ্যাত্মিক বা অতীন্দ্রিয় লক্ষ্য থাকে। অন্যদিকে মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশনে একটি নির্দিষ্ট অবস্থা বা লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্য থাকে না। এটি কেবল বর্তমান মুহূর্ত, হাতে থাকা কাজে এবং বর্তমান অভিজ্ঞতা উপলব্ধি করায় সচেতনভাবে।
গাইড বা আনগাইড এ পার্থক্য
ট্রেডিশনাল মেডিটেশন সঠিকভাবে চর্চার জন্য একজন শিক্ষক বা গুরু থাকা জরুরী। অন্যদিকে মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন গাইডেড মেডিটেশন বা অ্যাপের মাধ্যমে একজন শিক্ষক ছাড়াও স্বাধীনভাবে অনুশীলন করা যায়।