‘‘আনন্দ, পরিপূর্ণতা এবং সাফল্যে ভরা জীবন যাপনের জন্য আপনার প্যাশনকে পেশায় পরিণত করুন।’’

প্যাশন থেকে প্রফেশন – কীভাবে আপনার জীবনে বাস্তবায়ন করবেন?

 

"প্যাশন টু প্রফেশন:আপনার সম্ভাবনা আনলক করুন মাইন্ডফুলনেসভিত্তিক কোচিংয়ে মধ্যামে"

আপনি কি আপনার প্যাশনকে শান্তিময় ক্যারিয়ারে পরিণত করতে চাইছেন? আপনার আর কোথাও যাবার প্রয়োজন নেই। আমাদের ইসলামিক মাইন্ডফুনেসভিত্তিক কোচিং প্রোগ্রাম রয়েছে আপনার জন্য। আমাদের ১-১ কোচিং সেশন আপনাকে সেল্ফ-ডিসকভারির যাত্রায় গাইড করবে, আপনাকে আপনার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা আনলক করতে এবং আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে সহায়তা করবে ইনশাআল্লাহ।

 

আমাদের কোচিং প্রোগ্রামটি আপনাকে আপনার নির্বাচিত ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনে সহায়তা করার জন্য মাইন্ডফুলনেস এবং ইমোশনাল ইন্টালিজেন্টের সর্বশেষ গবেষণার সাথে ইসলামিক শিক্ষাকে একত্রিত করে তৈরী করা হয়েছে। আপনি আপনার নিজের ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন, আপনার ক্যারিয়ারে অগ্রসর হতে চাইছেন বা আপনার জীবনে আরও ভারসাম্য এবং পরিপূর্ণতা খুঁজছেন? আমাদের কোচিং আপনাকে সেখানে যেতে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।

 

আমি জোবায়ের রুবেল, আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে আপনার অনন্য লক্ষ্যগুলো সনাক্ত করতে এবং সেগুলি অর্জন করার জন্য একটি কাস্টমাইজড পরিকল্পনা তৈরি করতে আপনার সাথে কাজ করব। মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন, বাস্তবসম্মত প্রশ্ন এবং ইমোশনাল ইন্টালিজেন্সের কৌশলগুলির সমন্বয়ে আপনার সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় টুলস প্রদান করব।

আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকে প্রথম পদক্ষেপ নিন। আমাদের ইসলামিক মাইন্ডফুলনেসভিত্তিক কোচিং প্রোগ্রাম “প্যাশন টু প্রফেশন’’ এ আজই সাইন আপ করুন।

যে কারনে আপনার এই ১ টু ১ কোচিংয়ে অংশগ্রহন করা উচিৎ?

পারসোনাল এবং প্রফেশানাল লক্ষ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা অর্জন:

এই  ১:১ কোচিং থেকে একজন ব্যক্তি তার পারসোনাল এবং প্রফেশানাল লক্ষ্যগুলি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা পায় এবং সেগুলো অর্জনের জন্য একটি সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে যা অন্যান্য গতানুগতিক কোচিংয়ের মাধ্যমে সম্ভব নয়।

ইসলামিক উপায়ে মানসিক বুদ্ধিমত্তা উন্নত করাঃ 

 

জীবনে কিভাবে মাইন্ডফুল হবেন এবং কিভাবে নিজের সুপ্ত মানসিক প্রতিভার বিকাশ ঘটাবেন এবং সেটাও হবে ইসলামিক টেকনিকস অবলম্বন করে, তার সমাধান আমাদের এই ১:১ কোচিং প্রোগ্রাম। দীর্ঘ গবেষনার মাধ্যমে এই ১:১ কোচিং মডিউলটি এমনভাবে অরগানাইজ করা হয়েছে যেখানে একজন ব্যক্তি তার আত্ম-সচেতনতা, মানসিক নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যের প্রতি সহানুভূতি ইসলামিক ওয়েতে উন্নত করার কার্যকরি সমাধান পাবেন।

নির্দিষ্ট ফিল্ডে দ্রুত সাফল্য অর্জন করতেঃ

 

মাইন্ডফুলনেস ও ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স বিকশিত করার কৌশলগুলোর সঙ্গে ইসলামী শিক্ষার সমন্বয় ঘটিয়ে মডিউলটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যেন একজন ব্যক্তি তার স্পেসিফিক ফিল্ডে দ্রুত সাফল্য অর্জন করতে পারেন। সেটা নতুন ব্যবসা শুরু করা হোক, ক্যারিয়ারে অগ্রসর হওয়া হোক বা জীবনে ভারসাম্য আনা এবং পরিপূর্ণতা খুঁজে পাওয়া যেটার জন্যই হোক না কেন।

 

 

 

কোন কৌশলে অবলম্বন করা হয় ১ টু ১ কোচিংয়ে?

 

জীবনের লক্ষ্য আইডেন্টিফাই করাঃ

১:১ কোচিং প্রোগ্রামের প্রথম ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্টেপ হল জীবনের লক্ষ্য আইডেন্টিফাই করা। এই কোচিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন ক্লায়েন্ট লাইফে কী অর্জন করতে চায় সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধরনার জন্য একটি ডিপ-ডাইভ প্রশ্ন সেট করা হয় এবং সেটা কোচ ইন-ডেপথ এনালাইসিসের মাধ্যমে ক্লায়েন্টকে ডিসিশন মেইক করতে সাহায্য করা হয়।

 

কাস্টমাইজড প্ল্যান তৈরি: 

ক্লায়েন্টের লাইফের লক্ষ্যগুলি আইডেন্টিফাই করা হয়ে গেলে, কোচ একটি কাস্টমাইজড প্ল্যান তৈরি করেন ক্লায়েন্টের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে। যেখানে ক্লায়েন্টের চাহিদাগুলো ইফেক্টিভলি ইমপ্লিমেন্ট করার আপদমস্তক ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা হয়। এ ছাড়া  কীভাবে মাইন্ডফুল এবং স্ট্রেস মুক্ত থাকতে হয় তার একটি সুন্দর পথনির্দেশনা থাকবে পুরো কোচিং সেশনজুড়ে।

 

পরস্পর সহায়তা প্রদান এবং জবাবদিহিতা: 

১:১ কোচিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এই কোচিংয়ের পুরো প্রক্রিয়াজুড়ে থাকবে পরস্পর সহায়তা প্রদান এবং জবাবদিহিতা-যেখানে আছে ক্লায়েন্টের নিয়মিত আপডেট নেয়া, তার অগ্রগতির সাথে সাথে ফিডব্যাক দেয়া, সঠিক নির্দেশিকা প্রদান করা, ক্লায়েন্টকে তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করার পর্যাপ্ত অনুপ্রেরণা, মাইন্ড ট্রেনিং এবং সঠিক ট্র্যাকে থাকার কৌশল।

 

কিভাবে ১ টু ১ কোচিং করাই?

আমার কোচিং প্রোগ্রামটি  এক মাসব্যাপী চারটি ফুল-ডে সেশন নিয়ে গঠিত। এটি ক্লায়েন্টদেরকে কোচিং প্রক্রিয়ায় সাথে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে এডাপ্ট করতে হেল্প করে, পাশাপাশি প্রতিটি সেশনে শেখা বিষয়গুলি পরিপূর্ণরূপে আত্মস্থ করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়।

 

প্রথম দিন, আমরা ক্লায়েন্টের লক্ষ্য এবং চাহিদাগুলো চিহ্নিত করি এবং তা অর্জনে একটি কাস্টমাইজড পরিকল্পনা তৈরি করা শুরু করি। পাশাপাশি ক্লায়েন্টের লাইফস্টোরি এবং তার বিষয়ে যাবতীয় খুটিনাটি মন দিয়ে শোনার মাধ্যমে সে কীভাবে তার লক্ষ্য এবং চাহিদা পূরণ করবে তার একটি পরিষ্কার নকশা তৈরি করা হয়।

 

দ্বিতীয় দিন, মাইন্ডফুল থাকার প্র্যাকটিস এবং অন্যান্য এক্সারসাইজ করা হবে যা ক্লায়েন্টকে ফোকাসড রাখবে এবং তার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। তার আত্মসচেতনতা এবং মানসিক বুদ্ধিমত্তা বাড়ানোর কৌশল বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে স্ট্রেস ম্যানেজ এবং মনকে শান্ত করার কৌশল অন্তর্ভুক্ত থাকে।

 

তৃতীয় দিন, আমরা ইসলামিক টেকনিক ও ইসলামের নীতিগুলোর সঙ্গে কোচিং প্রোগ্রামের সমন্বয় ঘটিয়ে ক্লায়েন্টের মানোন্নয়ন এবং তার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করা হয়। এতে কৃতজ্ঞতা, সমবেদনা এবং ক্ষমার মতো ধারণাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা এবং ক্লায়েন্টের দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে এগুলো প্রয়োগ করা যেতে পারে তা শেখানো হয়।

 

চতুর্থ দিন, ক্লায়েন্টের সাথে তার অগ্রগতি পর্যালোচনা, লক্ষ্যের সঠিক ট্র্যাক যাচাইকরণ এবং ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করা নিয়ে কাজ করা হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্লায়েন্ট কতটুকু তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারল তার একটা ওভারভিউ পাওয়া যায়। ক্লায়েন্টের নতুন করে কোথায় কাজ করা দরকার সেই অনুযায়ী অ্যডভাইস প্রদান এবং সফল হওয়ার আগ অবধি তার স্বপ্ন সারথি হয়ে কাজ করে যাওয়া।

এ ছাড়াও, আমরা বিনামূল্যে ৪ টি ফলো-আপ সেশন অফার করি যেখানে নিশ্চিত করা হয় যে ক্লায়েন্ট পুরো কোচিংজুড়ে যা শিখল এবং সিদ্ধান্ত নিল তা সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারছে কিনা।