স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ বৈজ্ঞানিকভাবে উচিত কারণ এর নেতিবাচক প্রভাব শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ফেলে। বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে স্ট্রেস প্রোডাক্টিভিটি এবং সম্পর্কের অবনতি ঘটায়। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য স্ট্রেসের নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ, যা সমাধানের জন্য মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন একটি কার্যকর পদ্ধতি। বিস্তারিত –
শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব: বৈজ্ঞানিক গবেষণা মতে, মানসিক চাপ শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেমন- হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব: স্ট্রেস মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। যেমন- ডিপ্রেশন, অ্যাঙ্জাইটি এবং অন্যান্য মেন্টাল হেলথ ডিজিজ বাড়ায়।
রিডিউস প্রোডাক্টিভিটি: বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে, স্ট্রেস প্রডাক্টিভিটি হ্রাস করে। কারণ এটি একাগ্রতা এবং ফোকাসে অসুবিধা সৃষ্টি করে।
সম্পর্কের ওপর প্রভাব: দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপরও চাপ সৃষ্টি করে। বিজ্ঞান দেখিয়েছে যে, উচ্চ মাত্রার মানসিক চাপ বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে পারে এবং সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখা কঠিন করে তোলে। ফলে আমাদের দেশে প্রতিবছর ডিভোর্স এবং আত্মহত্যা বাড়ছে।
নিম্নমানের জীবন: দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস জীবনের মানও কমিয়ে দিতে পারে। কারণ এটি অসন্তোষ, অসুখী এবং নিম্ন আত্মসম্মানবোধের কারণ।