গুছিয়ে কথা বলার ৭টি সহজ কৌশল

গুছিয়ে কথা বলার ৭টি সহজ কৌশল

সুন্দর কথা বলতে পারাটা একটি আর্ট বা শিল্প । তাছাড়া সুন্দর করে কথা বলতে পারা আপনার স্মার্টনেসকে প্রেজেন্ট করে। আপনি হয়তো বা আপনার সুন্দর চেহারা দেখিয়ে একজন মানুষকে কিছু সময়ের জন্য সম্মোহিত করতে পারেন। কিন্তু আপনার কথা বলার ধরন যদি সুন্দর না হয় তাহলে সেই আকর্ষণ বেশি সময় হয়তো আপনি টিকিয়ে রাখতে পারবেন না।

সতরাং নিঃসন্দেহে বলা যায় শ্রোতার কাছে প্রিয় হয়ে ওঠার জন্য সুন্দর করে কথা বলতে পারাটা খুব কার্যকরী একটি কৌশল। সুন্দর করে কথা বলতে পারাটা একটি স্কিল এবং একটু প্রেক্টিসের মাধ্যমেই এটা আয়ত্তে আনা যায়।

চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক অন্যের সঙ্গে গুছিয়ে কথা বলার সহজ সাতটি স্ট্যাটেজি। পরিচিত বা অপরিচিত যে কোন মানুষের সাথে কথা বলার সময় এই ৭টি স্ট্রাটেজি ব্যবহার করতে পারবেন। এতে আপনার ব্যাক্তিত্ব আরো শক্তিশালি হবে। আপনি হয়ে উঠবেন সবার প্রিয়।

আসুন তবে জেনে নেই –

টিপস- ১: হাসি দিয়ে কথা শুরু করুন

সব যুদ্ধ জয় করার জন্য সবসময় অস্ত্রের প্রয়োজন হয়না। কিছু যুদ্ধ হাসি দিয়েও জয় করা যায়। কথা বলার শুরুতেই শ্রোতার মুখের দিকে একটু তাকান ২ সেকেন্ড পজ দিয়ে এর পর মিষ্টি করে হাসুন। এতে করে দেখবেন কথা বলার আগেই একটি পজেটিভ ভায়াব্রেশন পৌঁছে যাবে সামনে থাকা মানুষটির মনে। এই হাসি আপনার কথা বলাটাকে আরো সহজ করে তুলবে। এই কৌশল ব্যবহার করে দেখুন এটা সাইন্টিফিক এবং খুব জনপ্রিয়। হাসি মুখে কাথা বলাটা আল্লাহ নবীর সুন্নতও।

টিপস- ২: প্রশংসা বাক্য দিয়ে কথা শুরু করুন

হাসি দিয়ে আপনি সামনের মানুষটিকে পজিটিভ করে তুলেছেন। আর প্রসংশা বাক্য দিয়ে কথা শুরু করে সামনে থাকা মানুষটিকে আপনি কৃতজ্ঞ করে তুললেন। এবার আপনি যা বলতে চান বলুন। দেখুন, কেউ দুঃখ পায় এমন কথা দিয়ে কথা শুরু করবেন না। যে কথায় মানুষ দুঃখ পায় এমন কথা বলবেনই বা কেন?
আমরা অনেক সময় কারো সাথে দেখা হলে বলি, ভাই আপনি তো অনেক মোটা হয়ে গেছেন? বা এই টাইপের অনেক কথাই বলি। এতে মানুষ দুঃখ পায়। এমন কথা বলবেন না যে কথাতে আপনার প্রতি আপনার শ্রোতার একটি নীতিবাচক ধারনা তৈরি হয়।

টিপস- ৩: ইমোশন‌ ম্যাচ করান

কথা শুরু হলে, আপনার কাজ হচ্ছে- সামনে থাকা মানুষটির সাথে ইমোশন ম্যাচ করানো। ইমোশন ম্যাচ করানো মানে হচ্ছে- আপনার সামনের মানুষটি যদি হাসে আপনিও হাসি হাসি মুখ করুন। যদি তিনি দুঃখের ইমোশনে থাকে আপিনও তাই করুন।তাহলে দেখবেন আপনি ওই ব্যক্তির আপন হয়ে ওঠেছেন। কথা বলা খুব সহজ ও আনন্দায়ক হয়ে উঠেছে।

টিপস- ৪. আত্মবিশ্বাসের সাথে আই কন্টাক করুন

হাসা, প্রশংসা করা এবং ইমোশন‌ ম্যাচ করানোর পরেই লোকে আপনার কাছে চায়- গুরুত্ব। গুরত্ব দিবেন কিভাবে? খুব সহজ কাজ। কথা বালা বা শোনার হয় লোকটার চোখের দিকে তাকান। অযথাই এদির-ওই দিক তাকাবেন না। এই নামই হচ্ছে আই কন্টাক। বেশি সুবিধা হয় যদি আপনি এক চোখের দিতে তাকান।

টিপস- ৫: আগে মন দিয়ে শুনুন, বুঝুন তারপর বলুন

কথা বলার সময় আল্লাহ নবীর সুন্নত হচ্ছে মন দিয় কথা শোনা। তাই কেউ কথা বললে, আগে মন দিয়ে শুনুন, ব্যপারটা বুঝুন এর পর কিছু কথার থাকলে বলুন। কিছু বলা না থাকলে কেবল মন দিয়ে শুনুন। এই টুকুই যথেষ্ট। সব সময় বলতে হবে এমন কোন কথা নেই।

টিপস- ৬: এক কথায় উত্তর দিবেন না। পুরো বাক্য বলুন।

অনেক সময় কাউকে- কেমন আছেন? বলা হলে উত্তরে বলেন, ভালো। ভাই খেয়েছেন, উত্তবে বলেন, হ্যাঁ। এটা কথা বলার সুন্দর পদ্ধতি না।
এভাবে কথা বললে লোকে ভাবে আপনি তাকে ইগনোর করছেন। নতুন করো সাথে পরিচয় হবার সময় অবশ্যই পুরো বাক্যে দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন। এতে সম্পর্কেগুলো আরো সুন্দর হবে।

টিপস- ৭: প্যারটিং করুন

প্যারোটিং একটি খুব মজার টেকনিক। অনেক সময় এমন হয়ে করো সাথে কথা বলতে আমাদের খুব ভালো লাগে কিন্তু কেন ভালো লাগে আপনার বুঝতে পারি না। যথন কেউ প্যারোটিং করে তখন অন্যদের কথা বলতে ভালো লাগে। ধরুন, কেউ আপনাকে বললেন, এই জানো ফেসবুকে সিকুরিটি নিয়ে নতুন একটি ফিচার এসেছে।
আপনি কেবল বলুন, ফেসবুকে সিকুরিটি ফিচার। দেখবেন সে আপানর বলতে শুরু করেছে, এই ফিচার ফলে ফেসবুক হ্যাক করা আর সহজ হবে না। আরো অনেক কথাই বলতে শুরু করবে। যদি প্রথম করো সাথে কথা হয় অথবা আপনি অনেক ক্ষণ কথা বলতে চাচ্ছেন তা হল এই কৌশন অবশ্যই ব্যবহার করুন।

লাস্ট টিপস- বাট নট দ্যা লিস্ট:
কথা শেষে ওই ব্যাক্তির‌ জন্য মনে মনে একটু দোয়া করুন। কেমন দোয়া করবেন? যেমন- দোয়া আপনি নিজের জন্য পছন্দ করে তেমন দোয়া তার জন্যও করুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *